উপাচার্যের পুনর্নিয়োগ ঘিরে ফের তুঙ্গে রাজ‍্য - রাজ‍্যপাল সংঘাত

3rd March 2021 7:55 am বর্ধমান
উপাচার্যের পুনর্নিয়োগ ঘিরে ফের তুঙ্গে রাজ‍্য - রাজ‍্যপাল সংঘাত


সৌম‍্য বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় ( বর্ধমান ) :  বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.নিমাই চন্দ্র সাহার পুনর্নিয়োগ ঘিরে ফের একবার ভোটের মুখে তুঙ্গে উঠল রাজ্য সরকার ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের বিরোধ । উপাচার্য  পদে ড.নিমাই চন্দ্র সাহার পুনর্নিয়োগের ফাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসেবে রাজ্যপাল সই করছেন না বলেই রাজ্য সরকারের তরফে অভিযোগ করা হয়েছে । জানা গেছে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.নিমাই চন্দ্র সাহার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ৬ মার্চ । সেইমত নভেম্বরেই উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত সার্চ কমিটি তাদের প্যানেল রাজ্যপালের কাছে পাঠায় । তাতে প্রথম নাম ছিল ড.সাহার । কিন্তু রাজ্যপাল তাতে সই করেন নি । ২৫ ফেব্রুয়ারি জারি করা উচ্চশিক্ষা দফতরের সরকারী নোটিফিকেশনে বিষয়টি উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে উপাচার্যের মত দরকারী ও গুরুত্বপূর্ণ  পদ কোনভাবেই ফাঁকা রাখা সম্ভব নয়।    এতে ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে । তাই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় আইনের ৫৮ ধারা মোতাবেক ড. সাহাকে আগামী চার বছরের জন্য বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে পুনর্নিয়োগ করা হল । ইতিমধ্যেই ড.সাহা নতুন করে কার্যভার গ্রহণও করেছেন  বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম কানুন সম্পর্কে ওয়াকিবহাল মহলের মতে রাজ্যপাল নয় । নিয়মানুসারে উপাচার্যের নিয়োগে রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত । ফলে এনিয়ে রাজ্যপালের তেমন কিছু করার নেই । উল্লেখ্য কিছুদিন আগে রাজ্য সরকার নিয়োগ করা সত্ত্বেও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য পদে ড.আশিস কুমার পাণিগ্রাহীর নিয়োগে সায় দেন নি আচার্য । তিনি অন্য এক অধ্যাপক কে নিয়োগপত্র দেন । কিন্তু তাতে ড.পাণিগ্রাহীর নিয়োগ আটকান যায় নি । এক্ষেত্রেও সেটাই হবে বলে মনে করছেন পূর্বতন বিশ্ববিদ্যালয় আধিকারিকরা ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।